ইউরোপে মাঙ্কিপক্সের আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত হারে বাড়ছে। ইউরোপে এখন পর্যস্ত প্রায় ৫৫০ জনের অধিক মাঙ্কিপক্স রোগী পাওয়া গেছে। তবে করোনার মতো দ্রুত ছড়ায় না বলে মহামারির আশঙ্কা নেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্বজুড়ে মাঙ্কিপক্স ছড়ালেও ইউরোপ ও আমেরিকায় সংক্রমণ বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। এরমধ্যে ইউরোপের ৯টি দেশে মাঙ্কিপক্স প্রবলভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশগুলো হল— পর্তুগাল, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, সুইডেন ও যুক্তরাজ্য।এ ছাড়া আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায় মাঙ্কিপক্সের ক্রমবর্ধমান ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়েছে। কিন্তু এই ক্রমবর্ধমান আক্রান্তের সংখ্যার মধ্যে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, এই রোগটি মহামারী হয়ে উঠবে না। কারণ এটি করোনার মতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে না।
সর্বশেষ ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে বেলজিয়ামে ১০, ফ্রান্সে ১৭, জার্মানিতে ৪৪, ইতালিতে ২০, নেদারল্যান্ডসে ২৬, পর্তুগালে ১১৯, স্পেনে ১৪২, সুইডেন ও যুক্তরাজ্য ১৯৬ জনের শরীরে ম্যাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ ও কানাডায় ২৬ জনের মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে।
ডব্লিউএইচওর ইউরোপীয় প্রধান ড. হান্স হেনরি পি ক্লুগে বলেন, ইউরোপের লোকেরা যদি বেশি পার্টিতে যোগ দেয়, গ্রীষ্মে ছুটি কাটাতে যায় তাহলে এই রোগ আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ইউরোপের দেশগুলোতে মাঙ্কিপক্সের প্রথম ঘটনা ৭ মে রিপোর্ট করা হয়েছিল। ওই ব্যক্তি নাইজেরিয়া থেকে এসেছেন। মাঙ্কিপক্সের বেশিরভাগ ঘটনা আফ্রিকান দেশগুলিতে পাওয়া যাচ্ছে। ২০১৭ সাল থেকে সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু উদ্বেগজনক প্রবণতা হলো, এখন ইউরোপও এই তালিকায় নাম লিখিয়েছে।