TANVIR AHMED

করোনার ঢেউ কাটিয়ে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর পর্তুগাল

করোনা মহামারির ঢেউ কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সাগর কন্যার দেশ পর্তুগাল। বর্তমানে দেশটি অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব কাটিয়ে অনেকটা চিরচেনা রুপে ফিরতে শুরু করেছে। পর্তুগালে বর্তমানে প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশি অভিবাসীর ৬০ ভাগই পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায় জড়িত। বৈশ্বিক করোনা মহামারির প্রভাবে দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম হয়েছিল এসব ব্যবসায়ীদের। কিন্তু বর্তমানে পর্যটকদের পদচারণায় অনেকটা সুদিন ফিরতে শুরু করেছে পর্তুগালে বসবাসরত বাংলাদেশিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।

শুধু তাই নয় পর্তুগালে করোনা ভাইরাস বৃদ্ধির সময় বিভিন্ন কর্মসংস্থান থেকে বিপুল সংখ্যক কর্মীও ছাঁটাই করা হয়, এতে স্থানীয় নাগরিকসহ অভিবাসীরা কর্মহীন হয়ে পড়েন। নিম্নমুখী হয়ে যায় দেশের অর্থনীতি। তবে বর্তমানে পর্যটকদের আগমনে বৈশ্বিক মহামারির ঢেউ কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো, ফলে চাকরি হারানো সবাই আবারও যোগ দিচ্ছেন নিজ নিজ কর্মস্থলে।

দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউটের (আইএনই) তথ্যমতে, ২০২০ সালে মহামারি করোনার কারণে বেকারত্ব বহন করা কর্মজীবীদের প্রায় অর্ধেক ২০২১ সালে তাদের কর্মের ব্যবস্থা করতে পেরেছে, যা ২০২০ সালে বেকার হওয়ার শতকরা ৪৮.৮ ভাগ। তবে এখনও বেকারত্ব বহন করছে শতকরা ৩১.৩ ভাগ, বাকি ১৯.৯ শতাংশ কর্মজীবী তাদের অবস্থান নিষ্ক্রিয়ভাবে রেখেছেন।

 

 

রাজধানী লিসবনের বাংলাদেশি পর্যটন ব্যবসায়ী রুপন আহমদ সমকালকে জানান, বর্তমানে প্রচুর পরিমাণ পর্যটক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে পর্তুগালে আসছেন। ফলে আমরা যারা পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, আমদের ব্যবসা ভালো হচ্ছে। যদিও করোনার মহামারির ফলে আমরা অনেকটা লোকসানের সম্মুহীন হয়েছি। তবে আমি মনে করি, বর্তমানে যেভাবে পর্যটকরা আসছেন তাতে ধীরে ধীরে আমরা করোনা মহামারিতে যে লোকসান হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো।

পর্তুগালের মোট জনসংখ্যা ১০ মিলিয়নের কিছুটা বেশি, তবে প্রতিবছর মোট জনসংখ্যার দ্বিগুণ প্রায় বিশ মিলিয়ন পর্যটকের আগমন হয়ে থাকে। যদিও পর্তুগালে করোনার মহামারির সময় অনেকটা পর্যটক শূন্য ছিল। তবে বর্তমানে সেই আগের দিনগুলোতে ফিরতে শুরু করেছে। বিশেষ করে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে পর্যটকদের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো।

পর্তুগালের বন্দর নগরী পর্তোর বাংলাদেশ কমিউনিটির সভাপতি শাহ আলম কাজল সমকালকে বলেন, পর্যটক আগমনের এই সংবাদ পর্তুগাল অর্থনীতির জন্য একটি সুখবর বলেই আমি মনে করি। করোনা মহামারির পর ভ্রমণ নিষিদ্ধ ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বিশ্বব্যাপী প্রথম আঘাত আসে পর্যটন শিল্পে। তবে গত কয়েকদিন দলে বিপুল পরিমাণ পর্যটক পর্তুগালে এসেছেন।

…………………………………….

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *