সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ২% বিজ্ঞানীদের একটি র্যাংকিং প্রকাশ করেছে। ১৯৬৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত বিশ্বের ৬ মিলিয়ন বিজ্ঞানীর বিভিন্ন গবেষণা তথ্য বিশ্লেষণ করে এই র্যাংকিং তৈরি করা হয়েছে যা গত ১৯ অক্টোবর প্রকাশিত হয়।
বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ও পর্তুগালের লিসবন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়াারিংয়ের অধ্যাপক এস এম সোহেল মুর্শেদ গ্লোবাল এ র্যাংকিংয়ে টানা তৃতীয় বছরের মতো মর্যাদাপূর্ণ স্থান লাভ করেছেন। বর্তমানে তিনি রচেস্টার ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে কর্মরত আছেন।
এস এম সোহেল মুর্শেদ ২০২০ সালের রেকর্ডের তালিকায় পর্তুগালের মোট ৭০৩ জনের মধ্যে ৫২তম স্থানে রয়েছেন। তার বাড়ি বাংলাদেশের নড়াইল জেলায়। তিনি ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর রুয়েট ও বুয়েট থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি এবং এমএসসি করেছেন। বৃত্তি নিয়ে সিঙ্গাপুরের নানিয়াং টেকনোলজিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি শেষ করার পর তিনি সিঙ্গাপুর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক্টোরাল ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন।
অধ্যাপক সোহেল মুর্শেদ এখন পর্যন্ত ১০টি বই ছাড়াও শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক জার্নাল এবং কনফারেন্সে ১৮০ গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি গ্রুপ লিডার হয়ে পর্তুগালের প্রতিনিধি হিসেবে ইউরোপীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহযোগিতা অ্যাকশনে অংশ নিয়েছিলেন। ২০২০ সালে তিনি এএসইএম-ডিইউও প্রফেসরিয়াল ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।
অধ্যাপক সোহেল মুর্শেদ নিয়মিতভাবে ইউরোপীয় কমিশনের এবং একাধিক দেশের গবেষণা সংস্থার জন্য বিশেষজ্ঞ প্যানেলিস্ট এবং পর্যালোচক হিসেবে কাজ করেন। তিনি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সোসাইটি, সংস্থার সদস্য এবং কয়েকটি আন্তর্জাতিক জার্নালের সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন।
সমকালের সঙ্গে আলাপকালে সোহেল মুর্শেদ জানান, একজন বাংলাদেশি হিসেবে তিনি গর্বিত। তিনি মনে করেন তার অর্জনগুলো বাংলাদেশের অর্জন।